জোর করে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা। সামনেই পর্নোগ্রাফি দেখা। চাকরিতে পদোন্নতি আটকে দেওয়ার হুমকি। অন্য দফতরে বদলির আবেদন আটকে দেওয়া।
এমনই একাধিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেন তামিলনাড়ুর এক মহিলা পুলিশ সুপার। অভিযোগ আবার তাঁরই ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসার খোদ ডিআইজির বিরুদ্ধে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় পুলিশ মহলে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে তামিলনাড়ু সরকারও। কমিটি গঠন করে শুরু হয়েছে তদন্ত।
তামিলনাড়ুর ওই মহিলা পুলিশ সুপার অভিযোগ পত্রে জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই ‘অফিশিয়াল’ কাজের অছিলায় অসময়ে তাঁকে ডেকে পাঠাতেন ডিআইজির ঘরে। সেখানে বারবার তাঁকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করতেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি।
আরও পডু়ন: গোপন ডেরা থেকে সরকারি নথি সামনে এনে এ বার সিআইডি-কে চ্যালেঞ্জ ভারতীর!
এর পর শুরু হয় অন্য অত্যাচার। এসপি-কে সামনে বসিয়ে রেখে দিনের পর দিন পর্নোগ্রাফি দেখতে শুরু করেন ডিআইজি। বন্ধ করতে বললেও সে কথায় কর্ণপাত করতেন না বলে অভিযোগ এসপি-র। পাশাপাশি তিনি অশ্লীল এসএমএস পাঠানো এবং কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন ডিআইজির বিরুদ্ধে। এসপির দাবি, বারবার নিষেধ করলেও ডিআইজি তাঁর কুকর্ম চালিয়ে গিয়েছেন।
শেষমেষ বাধ্য হয়ে পুলিশেরই অন্য বিভাগে বদলির আবেদন জানান ওই এসপি। কিন্তু পদমর্যাদা বলে তাও ডিআইজি আটকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।ওই মহিলা পুলিশ সুপারের দাবি, বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে তাঁকে ভয় দেখানো হত। পদোন্নতি আটকে দেওয়া, কর্মজীবনে প্রভাব ফেলা-সহ নানা হুমকি দিতেন ডিআইজি। তাই বাধ্য হয়ে শেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: যৌনপল্লিতে গিয়ে ধরা পড়ায় এশিয়ান গেমস থেকে ফেরত পাঠানো হল চারজনকে
ঘটনা সামনে আসতেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তামিলনাড়ু সরকার। সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর, ২০১৩ সালের কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হেনস্থা বিরোধী আইন অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হেনস্থা রুখতে সম্প্রতি গঠিত হয়েছে বিশাখা কমিটি। ওই কমিটিতেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কমিটির গাইডলাইন অনুযায়ী, যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করা যাবে। পাশাপাশি অপরাধমূলক কাজকর্ম হিসাবে ধরে নিয়ে শুরু করা যাবে তদন্তও।